অফিসের ল্যাপটপে যে সব বিষয় খেয়াল রাখার উচিত
আইটি, ফিনান্স, টেলিকম, এডুকেশন ইত্যাদি বিভিন্ন সেক্টর তাদের কর্মীদের কাজের সুবিধা, কর্মদক্ষতা বাড়ানো এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে গুণগত মানের কাজ সম্পন্ন হয়, তার জন্য সংস্থাগুলি তাদের কর্মীদের সবসময়ের কাজের জন্য ল্যাপটপ দিচ্ছে। যেটা দিয়ে কর্মীরা অফিসে, বাড়িতে অথবা কোন রিমোট লোকেশনে সুবিধামত কাজ করতে পারে।
![]() |
An Indian IT expert is working in front of her laptop Credit: Akshay Gupta on pixahive |
আপনিও যদি আপনার অফিস থেকে কাজের
জন্য ল্যাপটপ নিয়ে থাকেন তাহলে কতগুলি জিনিস আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনি ভবিষ্যতে
কোন অসুবিধায় না পড়েন।
যত্নঃ অফিসের ল্যাপটপ আপনাকে অবশ্যই যত্নে রাখতে হবে। খুব বিশেষ
দরকার ছাড়া এই ল্যাপটপ অন্য কাউকে ব্যাবহার করতে দেবেন না, এমনকি আপনজনদেরও না।
চার্জিংঃ ল্যাপটপের সাথে সময় চার্জার রাখবেন। কাজ করার সময় ল্যাপটপের
ব্যাটারি লেভেলের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্যাটারির ব্যাকআপ ক্ষমতা বেশী থাকলে, সবসময় চার্জে বসিয়ে ল্যাপটপ ব্যাবহার করবেন
না।
ইন্সটলেশনঃ অফিসের ল্যাপটপে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করার আগে অবশ্যই অফিস কর্তৃপক্ষের
অনুমতি নেবেন। অধিকাংশ সময় অফিস থেকে ল্যাপটপ কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করে দেওয়া হয়।
ইন্টারনেটঃ অফিসের ল্যাপটপে ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য অফিসের ওয়াইফাই,
বাড়ির ওয়াইফাই এবং রিমোট লোকেশনে থাকলে আপনার মোবাইলের হটস্পট ব্যাবহার করুন। পাবলিক
প্লেসের ফ্রী ওয়াইফাই ব্যাবহার করবেন না। বাড়ীতে ব্রডব্যান্ড কানেকশন নেবার সময় অবশ্যই ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে বলবেন যে আপনার অফিসের কাজে ইন্টারনেট ব্যাবহার করবেন।
আপনার অফিসের টেকনিক্যাল টিম আপনার অফিসের ল্যাপটপে VPN ইনষ্টল করে দেবে।
![]() |
A woman is working on her project from home Photo by Vlada Karpovich |
ব্রাউজিংঃ মনে রাখবেন আধিকাংশ সংস্থা অনেক সময় তাদের কর্মীদের ল্যপটপের
ব্রাউজিং হিস্ট্রির ওপর নজরদারি করে। সুতরাং অফিস ল্যাপটপে অফিস সংক্রান্ত কাজের বাইরে
কোন বিষয়ে সার্চ করবেন না।
সোশ্যাল মিডিয়াঃ আপনার অফিস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কখনই অফিস ল্যাপটপে কোন
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন ফেসবুক, ইউটিউব এবং টুইটার ইত্যাদি ওয়েবসাইটগুলি ব্যাবহার
করবেন না।
নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটঃ আপনার অফিসের ল্যাপটপের ব্রাউজারে কখনোই কোনো বিষয়বস্তুর ওপরে কখনই
সার্চ করবেন না এবং নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে কখনই ভিজিট করবেন না।
ইমেইলঃ অফিস ল্যাপটপে কখনো আপনার ব্যক্তিগত ইমেইল চেক করবেন না।
![]() |
A man is planning his work on his laptop inside of Cafeteria Image by drobotdean on Freepik |
আপডেটঃ আপনার অফিসের ল্যাপটপের অ্যান্টিভাইরাস এবং অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত আপডেট
হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
টেকনিক্যাল সাপোর্টঃ অফিসের ল্যাপটপের
প্রযুক্তিগত কোন সমস্যা হলে অতি দ্রুত আপনার অফিসের টেকনিক্যাল টিমের সাহায্য নিন।
ল্যাপটপের সফটওয়্যার বা হার্ডওয়ারের কোন সমস্যা যদি আপনার কাজের পক্ষে বাধা হয়ে
দাঁড়ায় তাহলে অবশ্যই আপনার ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানান। হার্ডওয়্যারের সমস্যা হলে,
নিজে ল্যাপটপ খুলে ঠিক করতে যাবেন না।
ব্যাকআপ স্টোরেজঃ অনেক সময় কম্পিউটারে
ভাইরাসের সংক্রামণ এবং অনান্য কারণে অফিসের ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেম ফরম্যাট
করার দরকার পরে। আপনার অফিসের কাজের ফাইলগুলি সুরক্ষিত রাখার জন্য অবশ্যই ক্লাউড
স্টোরেজ কে ব্যাকআপ স্টোরেজ হিসাবে ব্যাবহার করবেন। এছাড়া কাজের সুবিধার জন্য
ল্যাপটপের লোকাল ড্রাইভ অথবা এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ ব্যাবহার করতে পারেন।
পাসওয়ার্ডঃ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এবং
অথেন্টিকেশন কি ব্যবহার করার জন্য এখন পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝুঁকি অনেকটা কমে গেছে। তা সত্ত্বেও আপনাকে ল্যাপটপের
পাসোয়ার্ড মনে রাখতে হবে। সুরক্ষার জন্য আপনাকে নিদিষ্ট সময় অন্তর পাসওয়ার্ড
পরিবর্তন করতে হবে।
অফিসের ল্যাপটপ নিজের কাছে রেখে তা যত্ন সহকারে এবং সুরক্ষিত ভাবে ব্যাবহার করা
আপনার কাজের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এবং ভবিষ্যতে কাজের দায়িত্ব থেকে অবসর নেওয়ার
সময় আপনাকে এই ল্যাপটপ আপনার অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দিতেই হবে।
ক্লাউড স্টোরেজঃ আপনার অফিসের
প্রজেক্টের ফাইলগুলি সুরক্ষিত রাখতে এবং আপনার সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত অন্য কোন
ডিভাইস থেকে প্রোজেক্টের ফাইলগুলি নিয়ে কাজ করার জন্য ক্লাউড স্টোরেজ ব্যাবহার করা
নিরাপদ। গুগোল ড্রাইভ, মাইক্রোসফটের ওয়ান ড্রাইভ, ড্রপবক্স ইত্যাদি ক্লাউড স্টোরেজ
গুলি বেশী ব্যবহার করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন