বাজারে গিয়ে আসল ইলিশ চেনার উপায় - জানা দরকারি - Jana Dorkari | Online Bengali News portal

Breaking

বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪

বাজারে গিয়ে আসল ইলিশ চেনার উপায়

খাঁটি ইলিশ মাছ এইভাবে বাজার থেকে কিনলে ঠকতে হবে না

একটু বৃষ্টি হলেই  বাঙালিদের মন ইলিশ মাছের স্বাদ নেওয়ার আশায় জন্য চঞ্চল হয়ে ওঠে। কিন্তু বাজার থেকে ইলিশ মাছ এনে রান্নার পরে দেখা যায় যে তাতে না আছে গন্ধ আর না আছে স্বাদ। 

আসলে অনেক সময় বাজারে খাটি ইলিশ মাছের পাশাপাশি প্রায় ইলিশ মাছের মত দেখতে বিভিন্ন মাছ বিক্রি হয়। সেই মাছগুলি দেখতে ইলিশ মাছের মত হলেও স্বাদে গন্ধে তারা ইলিশের ধারে কাছে যায় না। এরকম কিছু মাছ হলো চন্দনা ইলিশ, খয়রা ইত্যাদি । 

বাঙালীর প্রিয় ইলিশ মাছ
নদীর ইলিশ মাছ
Image Soruce: Flicker

এবার খাঁটি ইলিশ মাছ এবং চন্দনা ইলিশ মাছের মধ্যের তুলনামুলক পার্থক্যগুলি নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলো।  


ইলিশ মাছ চন্দনা ইলিশ 
ইলিশ মাছ আকারে বড়ো হয়। এক একটি ইলিশ মাছের সাইজ সর্বাধিক প্রায় 75সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। চন্দনা ম্যাছ আকারে ছোট হয়। এগুলো প্রায় সাত থেকে বিশ সেমি লম্বা হয়।
ইলিশ মাছের পেট এবং পিঠ উভয় অংশই সমানভাবে বাঁকানো। অন্যদিকে চন্দনা মাছের পিঠের অংশের তুলনায় পেটের দিকে বেশি বাঁকানো থাকে।
ইলিশ মাছের মাথার আকৃতি লম্বাটে এবং মাথার অগ্রভাগ সূচালো। চন্দনা মাছের মাথার আকৃতি ছোটো এবং মাথার অগ্রভাগ ভোঁতা হয়।
ইলিশ মাছের চোখের আকৃতি ছোট চন্দনা মাছের চোখের আকৃতি ইলিশের তুলনায় বড় হয়।
ইলিশ মাছের চোখে লালচে আভা থাকে চন্দনা মাছের চোখে লালচে আভা দেখা যায় ন।
ইলিশ মাছের গায়ে থাকে ছোট রূপালী আঁশ। যাতে আলো পড়লে উজ্জ্বল দেখায়। কিন্তু চন্দনা মাছের এরকম রূপালী আঁশ দেখা জায় না।
ইলিশ মাছের একটি নিজস্ব গন্ধ আছে যা নাকের কাছে ধরলে টের পাওয়া যায়। চন্দনা মাছের গায়ে ইলিশ মাছের গন্ধ পাওয়া যায় না।
বর্ষার সময় ইলিশ মাছের পার্শ্ব রেখা বরাবর একটি গোলাপি আভা থাকে। চন্দনা মাছের ক্ষেত্রে এরকম কোনো লালচে বা গোলাপী দাগ থকে ন।
ইলিশ মাছের পাখনার কিনারা ফ্যাকাশে থাকে চন্দনা মাছের ক্ষেত্রে পাখনার কিনারা ঘোলাটে হয়।

তাহলে ইলিশ এবং  চন্দনার মধ্যে পার্থক্য আমারা বুঝতে পারলাম। এবার কিভাবে টাটকা ইলিশ মাছ চিনবেন সে বিষয়ে নীচে আলোচনা হলো। 

(1) টাটকা ইলিশ মাছের চোখ স্বচছ এবং উজ্বল হয়। দীর্ঘদিন হিমঘরে মজুত করে রাখা ইলিশের চোখ অস্বচ্ছ, ঘোলাটে এবং ভেতরের দিকে ঢুকে থাকে। 

(2) টাটকা ইলিশ মাছ শক্ত থাকে। টাটকা মাছের পেটে হাত দিয়ে ধরে ওপরে তুললে মাছের আকারের কোনো পরিবর্তন হয় না। দীর্ঘদিন হিমঘরে রাখা বাসি মাছ ওপরে তুলে ধরলে মাছের মাথা এবং লেজের দিক নেতিয়ে পড়ে। 

(3) অনান্য মাছের মতই টাটকা ইলিশের কানকোর নীচে ফুলকা টকটকে লাল বর্ণের হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন হিমঘরে সঞ্চিত রাখা ইলিশের ফুলকাগুলি বাদামী অথবা কালচে বর্ণের হয়। 

কোন মন্তব্য নেই: